একুশের প্রকৃত শিক্ষা।

অনেক দিন ধরে ভাবছি একশ নিয়ে কিছু লিখব।কিন্তু পরিক্ষার কারনে তা যথাসময়ে শুরু করতে পারিনি।একটু দেরিতে হলেও অাজ শুরু করলাম,
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে।কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, অামরা অাজও একুশের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করিনি বা করছিও না। তাতে করে অামাদের হাজারো গর্বের ইতিহাস শুধু ইতিহাসই রয়ে যাচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না!অাসুন একুশের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অাগামিকে সাজায়।অার তা পারলে এ জাতির দুঃখ লাঘব হবেই।ইনশাঅাল্লাহ।।।।

Comments

Post a Comment

Popular Posts