কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মানুষ ত্রাণ চাই না,বেড়িবাঁধ চাই।

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার
 অন্তর্গত মগনামা ইউনিয়নের বেশ
 কয়েকটি গ্রাম এখনো
জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত
রয়েছে। অমাবস্যার জুঁর সাগরের
জোয়ারের পানিতে এ ইউনিয়নের এক-
তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে এ ইউনিয়নে প্রায়
২০হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়েছে।
এ ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড়ে চরম
মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
দেখা দিয়েছে খাদ্য, চিকিৎসা ও
বিশুদ্ধ পানির অভাব।


ইতিমধ্যে ঘুর্নিঝড়
রোয়ানুর আঘাতে উপজেলার মগনামা
ইউনিয়নের কুতুবদিয়া চ্যানেল
সংশ্লিষ্ট পাউবোর বেড়িবাঁধ
বিলিন হয়। শরতঘোনা জাবের
আহমদের বাড়ি থেকে হুমায়ন
কবিরের প্রজেক্ট পর্যন্ত প্রায় দেড়
কি.বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানির
তোড়ে বিধ্বস্থ হয়। এরপর থেকে
প্রতিনিয়ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ
করছে। কাকপাড়া অংশের একাধিক
পয়েন্টে বেড়িবাঁধ বিলিন হয়েছে।
বর্তমানে মগনামার অন্তত ২০টির
অধিক গ্রামে নিয়মিত জোয়ার-
ভাটা চলছে।
ওই অংশ দিয়ে সাগরের জোয়ারের
পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ
করছে। এতে করে ওই ইউনিয়নের বিপুল
এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি
হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িঘর পানির
নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট
পানির নিচে থাকায় এসব এলাকার
যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। পানি বন্দি
মানুষ নৌকা নিয়ে চলাচল করছে।
মগনামা ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড়ে গত
এক সপ্তাহ ধরে মানবিক বিপর্যয়
দেখা দিয়েছে। বাড়িঘর লোনা
পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরে চুলা
আগুন জ্বলছেনা। নলকুপ পানির নিচে
ডুবে রয়েছে। ক্ষুর্ধাত মানুষ ও
পরিবারের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। প্রচন্ড লবনাক্ততার কারনে
এ ইউনিয়নের বিপুল অংশে বিশুদ্ধ
পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন কোন পুকুর নেই যেগুলোতে
লবনাক্ত পানি ঢুকে পড়েনি।
পয়নিস্কাশন ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে
গৃহস্থলি কাজে চরম ভোগান্তি
দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনের নিকট অাকুল অাবেদন
ত্রাণ বা সহযোগীতা নই,চাই স্থায়ী
সমাধান। বেড়িবাঁধ চাই.......
অাশা করছি দ্রুত বেড়িবাঁধ তৈরির
কাজ শুরু হবে।
অাজহারুল ইসলাম রনি
ডুয়েট,গাজীপুর।।।

Comments

Popular Posts