অাপাত দৃষ্টিতে পেকুয়া-কক্সবাজার বাসীর জন্য সুখবর হলেও সামগ্রিক পরিবেশের বিপর্যয় নিশ্চিত!!!
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আল্ট্রা সুপার ক্নির্মাণাল কোল ফায়ার্ড
পাওয়ার প্রজেক্ট দু’টি থেকে
৬শ’ মেগাওয়াট করে মোট ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এবার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আরও দু’টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। ৬শ’ মেগাওয়াট করে এ দুই সিদ্ধান্তে মোট ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
সুত্র:banglanews24.com
পেকুয়া বাসীর জন্য এটা সুখবর কিনা জানি না!!
কিন্তু এতটুকু স্পষ্ট বলা যায়, এ এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ বিপর্যয় নিশ্চিত!!!!
এমনিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও
বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি জনিত সমস্যা এ
এলাকায় ইতি মধ্যে তীব্র থেকে তীব্রতর
অাকার ধারন করেছে। প্রতি বছর সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চাতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্ষার মৌসুমে
জোয়ারের পানিতে সমতল ভূমি প্লাবিত
হয়। এতে করে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে এ এলাকার মানুষ। অার সামগ্রিক পরিবেশের ক্ষতিকর দিক তো অাছেই।এ এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সামগ্রিক
পরিবেশের ক্ষতির পরিমান কল্পনাতীত!!!!
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি অারো গভীর ভাবে ভাবেচিন্তে অাগানোর পরামর্শ দিচ্ছি। অার এ এলাকার শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি
ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
সাধারণ মানুষ নিউজটিকে অবশ্যই
পেকুয়াবাসীর জন্য সুসংবাদ হিসাবে
দেখবে!!!
কিন্তু দুঃখের বিষয় পরিবেশ বিপর্যয়ের
ব্যাপারটি অনেকেই মাথাই অানতে চাইবে
না!!!
যদি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় তাহলে পেকুয়া
ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ
বিপর্যয় হতে পারে।
তাই বলছি এখনো সময় অাছে,বিষয়টি ভেবে
দেখার। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের
নিকট বিনীত অনুরোধ করছি,অাপনারা
সামগ্রিক ভাবে বিষয়টি দেখেন। ধন্যবাদ
সবাইকে........
নিবেদক -----
অাজহারুল ইসলাম রনি
সি.ই. ডুয়েট।
পরিবেশ কর্মী।
Comments
Post a Comment